আগেকার দিনে আধার কার্ড ও প্যান কার্ড ছিল না বলে কোন লোন মঞ্জুর হবার জন্য অনেক রীতিনীতি মেনে চলতে হতো। ইনস্ট্যান্ট লোন অ্যাপ জনপ্রিয় হবার সাথে সাথে পেপারলেস পদ্ধতিতে পার্সোনাল লোনের অনুমোদন দেওয়া শুরু হল আর তখন থেকেই আধার কার্ড আর প্যান কার্ড নথিপত্র যাচাইয়ের ক্ষেত্রে একটি বিরাট ভূমিকা নিতে শুরু করল।
পার্সোনাল লোন আনসিকিওরড লোনের অধীন, হোম লোনসের মতো নয়। বাড়ির সংস্কার, বিয়ের খরচ, ল্যাপটপ বা মোবাইল কেনা এরকম বহুবিধ কারণে পার্সোনাল লোন নেওয়া যেতে পারে যার জন্য শুধুমাত্র আধার কার্ড আর প্যান কার্ডের মতো ন্যূনতম কাগজপত্রের দরকার হয়। যাদের চটজলদি টাকা দরকার, তাদের উদ্ধার করার জন্যই আছে পার্সোনাল লোন। আপৎকালীন চিকিৎসার প্রয়োজনের সময় এটি জীবনদায়ী ভূমিকা পালন করে।
তাই ভারতীয় ফিনান্স কোম্পানিগুলি পার্সোনাল লোনের অনুমোদনের জন্য বাধ্যতামূলক নথিপত্রের তালিকা ছোট করে ফেলেছে। এমনকি আধার কার্ড আর প্যান কার্ডের কেওয়াইসি ভেরিফিকেশন করিয়েই ঋণগ্রহীতারা পার্সোনাল লোন পেতে পারেন। আজকাল বেশিরভাগ ইনস্ট্যান্ট লোন অ্যাপের ক্ষেত্রেই পেপারলেস পদ্ধতিতে নিজের মোবাইলের সাথে লিঙ্ক হওয়া আধার কার্ড ও প্যান কার্ড নম্বরই ব্যবহার করা হয়।
আজকের দিনে প্রযুক্তির উদ্ভাবন এতটা সফল হয়েছে যে এখন ঋণগ্রহীতারা আধার কার্ড ও প্যান কার্ডের ভিত্তিতেই ইনস্ট্যান্ট লোন পেতে পারে। আধার ও প্যান নির্ভর কেওয়াইসি নথিপত্র প্রদর্শন এখন লোন মঞ্জুর করার জন্য একটি সম্পূর্ণ পেপারলেস প্রসেস যার ফলে লোনের প্রক্রিয়া দ্রুততর হয়।
এখনকার ডিজিট্যাল যুগে, ফিনান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনগুলি লোন নেবার জন্য একটা সহজ উপায় তৈরি করেছে যাতে ন্যূনতম নথিপত্র দরকার হয়। চিরাচরিত পদ্ধতিতে ফর্ম দাখিল করা, কাগজপত্র জমা করার পরিবর্তে এখন অনলাইনে আধার কার্ড ও প্যান কার্ড সংক্রান্ত বিবরণ দিয়েই তাড়াতাড়ি ও সহজে পার্সোনাল লোন পাওয়া যায়।
কেউ কখনো ভাবতে পারেনি যে এমন একটা সময় আসবে যখন কয়েক মিনিটের মধ্যেই কোন পার্সোনাল লোন মঞ্জুর হয়ে যাবে আর লোনের টাকা ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ক্রেডিট হবে। ইনস্ট্যান্ট পার্সোনাল লোন অ্যাপ এসে যাওয়ায় এখন প্রক্রিয়াকরণের ধরণ বদলে গেছে, যেখানে আধার কার্ড আর প্যান কার্ডের মাধ্যমে ভাবী ঋণগ্রহীতার প্রোফাইল যাচাই করে নেওয়া হয়। আধার আর প্যানের মাধ্যমে কিভাবে অনলাইনে বিনা ঝামেলায় পার্সোনাল লোন পাওয়া যায় সে সম্পর্কে নিজেকে আপডেটেড রাখুন।
ই-কেওয়াইসি ভেরিফিকেশনের জন্য আধার কার্ড ও প্যান কার্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ যা বহু ঋণদাতার কাছে যোগ্যতামানের অংশ হিসাবে বিবেচিত হয়। তাই, পার্সোনাল লোন রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় আধার কার্ড ও প্যান কার্ড নম্বর দেওয়া বাধ্যতামূলক।
সাম্প্রতিক ট্রেন্ড হ’ল অনলাইন পার্সোনাল লোন অ্যাপ, আর লোনের আবেদনকারীদের কাছে এটি সহজ কেননা শুধুমাত্র আধার কার্ড আর প্যান কার্ড দাখিল করতে হয়, আর পুরোটাই একেবারে পেপারলেস প্রক্রিয়া। যাইহোক, ভিন্ন ভিন্ন ঋণদাতার ক্ষেত্রে তা আলাদা হতে পারে। কোন কোন ঋণদাতা তাদের রেকর্ডের জন্য কেওয়াইসি প্রমানপত্র কাগজ আকারে চাইতে পারে। কোন ইনস্ট্যান্ট লোনের আবেদন অবিলম্বে ২৪ ঘন্টা সময়সীমার মধ্যে অনুমোদন করা হয়।
পরিশেষে, আধার কার্ড আর প্যান কার্ড হ’ল ইনস্ট্যান্ট লোনের জন্য দুটি অপরিহার্য নথিপত্র। ২০১০ সালের এপ্রিল মাসে চালু হবার পর আধার কার্ড লোন দেওয়া নেওয়ার ছবিটাই বদলে দিয়েছে। লোন মঞ্জুর হবার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার দিন ফুরিয়েছে। এখন পার্সোনাল লোনের জন্য কেওয়াইসি নথিপত্র থাকলেই গ্রাহকরা চটজলদি তাদের লোন অনুমোদন করাবার সুবিধা পাবেন।
ভারতীয় নাগরিকদের জন্য আধার কার্ড ও প্যান কার্ড খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। আধার কার্ড থেকে বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় আর প্যান কার্ড থেকে ঋণগ্রহীতার আর্থিক ও করদান বিষয়ক সক্রিয়তার বিষয়ে জানা যায়। তাই পার্সোনাল লোনের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করার সময় আধার কার্ড ও প্যান কার্ড হাতের কাছে রাখুন।
উ. হ্যাঁ প্যান কার্ড হলো ইনস্ট্যান্ট লোন অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে পার্সোনাল লোন পাবার জন্য একটি অন্যতম অপরিহার্য ডকুমেন্ট। কিন্তু শুধু প্যান কার্ড থাকলেই লোনের অনুমোদন পাওয়া যাবে না। ঋণগ্রহীতাকে লোন পাবার জন্য আধার ও প্যান কার্ড, দু’টোই দাখিল করতে হবে।
উ. হ্যাঁ, ইনস্ট্যান্ট লোন অ্যাপসের মাধ্যমে অনলাইনে কোন পার্সোনাল লোন নেবার জন্য বাধ্যতামূলক ভাবে যে প্রমাণপত্রাদি পেশ করতে হয়, আধার কার্ড তাদের মধ্যে অন্যতম। কিন্তু শুধু আধার কার্ড হলেই লোনের অনুমোদন হবে, তা কিন্তু নয়। ভাবী ঋণগ্রহীতাকে অনলাইনে লোন পেতে হলে আধার কার্ড ও প্যানকার্ড, দু’টোই একসাথে পেশ করতে হবে।
উ. আসন্ন ঋণগ্রহীতার ধার শোধ করার যোগ্যতা ও আর্থিক ইতিহাস জানার জন্য ঋণদাতারা প্যান কার্ড দেখতে চান। প্যান কার্ডে যদি ক্রেডিট স্কোর ভালো দেখায় তাহলে পার্সোনাল লোন পাওয়ার জন্য চেষ্টা করা যেতে পারে।
উ. লোনের পরিমান একটি বিবেচ্য বিষয়। আধার কার্ড বা প্যান কার্ড যাই হোক না কেন, লোনের পরিমান ঋণদাতার নির্ধারিত সীমার মধ্যে ঋণগ্রহীতার পছন্দ বা প্রয়োজনের উপর নির্ভর করবে। কোন কোন ঋণদাতারা ২ লাখ টাকা পর্যন্ত লোন দিতে আগ্রহী আবার কিছু ঋণদাতা ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিতে চান।
উ. হ্যাঁ, আপনি ইনস্ট্যান্ট পার্সোনাল লোন অ্যাপস থেকে আধার কার্ডের মাধ্যমে লোন পেতে পারে। অনলাইনে ইনস্ট্যান্ট লোনের অনুমোদন পাবার জন্য বাধ্যতামূলক প্রমানপত্রগুলির একটি হ’ল আধার কার্ড।
উ. হ্যাঁ, আপনি আধার কার্ডের ভিত্তিতে একটি পার্সোনাল লোন পাবেন। নাম, বয়স, ঠিকানা, নাগরিকত্ব সহ বহুবিধ ব্যক্তিগত পরিচয় যাচাই করার জন্য এটি একটি বাধ্যতামূলক প্রমানপত্র। আপনার আধার কার্ড আপনার মোবাইল নম্বরের সাথে লিঙ্ক করা আছে কিনা সে সম্বন্ধে সুনিশ্চিত হয়ে নিন।
উ. ইনস্ট্যান্ট পার্সোনাল লোন অ্যাপস থেকে আধার কার্ডের মাধ্যমে ইনস্ট্যান্ট লোন পাওয়া যেতে পারে। যখন অনলাইনে কোন লোনের আবেদন করা হয়, তার সাথে কেওয়াইসি ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক। এখানে আধার কার্ড হল পেপারলেস ফর্ম্যাটে বাধ্যতামূলক ভাবে দাখিল করণীয় ডকুমেন্টগুলির একটি।
উ. গুগল প্লে স্টোর থেকে একটি ইনস্ট্যান্ট পার্সোনাল লোন অ্যাপ ডাউনলোড করুন। আপনার বেসিক বিবরণ নথীভূক্ত করুন। ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন পর্যায়ে নিজের আধার নম্বর এন্টার করুন, যেটা আপনার মোবাইল নম্বরের সাথে লিঙ্ক করা রয়েছে। এটি একটি রিয়েল-টাইম প্রক্রিয়া যেখানে প্যান কার্ড সহ অন্যান্য ডকুমেন্টও পেপারলেস ফর্ম্যাটে দাখিল করতে হবে।
উ. ঋনদাতা আসন্ন ঋণগ্রহীতার পরিশোধ ক্ষমতা, আর্থিক লেনদেনের ইতিহাস এবং ক্রেডিট স্কোর প্যান কার্ড থেকে যাচাই করেন। ঋণ পেতে আগ্রহী কারো প্রোফাইল যদি সবক’টি শর্ত পূরণ করতে পারে, তাহলে প্যান কার্ডের মাধ্যমে একটি ইনস্ট্যান্ট লোন পাওয়া যেতে পারে।